Wednesday 27 April 2016


নৈঋতের সুখ দুঃখ কিংবা সেচ্ছা নির্বাসন
--------------------------------------------------------
এই পাহাড়ী এলাকায় খুব বেশি বৃষ্টি হয়।এতো বৃষ্টি হয়, নৈঋত ভাবে এটাই পৃথিবীর সবচে বেশি বৃষ্টি বহুল স্থান? আসলে তা নয়, যদিও মেঘালয়ের ঐ জায়গাটা খুব বেশি দূরে নয়।মেঘালয় নামটি নৈঋতের খুব ভাল লাগে।কি সুন্দর নাম? মেঘের ঘরবাড়ি তাই এই নাম।
নৈঋতের সবচেয়ে প্রিয় শহর শিলঙ।
কত বার গিয়েছে,তবু শিলঙ যেন বার বার নতুন
রূপে ধরা দেয় ।
নৈঋতের খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে।
তখন এক নাগাড়ে দশ বারো দিন বৃষ্টি হতো। পথ ঘাট খুব ঝক ঝকে,বৃষ্টি ধোয়া।
কোথাও কিন্তু জল জমে থাকতো না।
ছোট্ট রেলশহর। তাই একটা ছিমছাম
সাহেবি ভাবে ছিল।
নৈঋতের এই জন্ম শহরটায় নদী ঘেঁষে যেমন
একটি গীর্জা আছে তেমনই আছে শিবমন্দির।
দুটির সৌন্দর্যই অপরূপ।আসলে রূপসী বরাকের
জন্য গীর্জা কিংবা শিব মন্দিরের এই সৌন্দর্য।
নৈঋতের ছোটবেলা মানেই জাটিঙ্গার কমলা,
লক্ষ্মীপুরের আনারস আর বরাকের নানা রকম মাছ।বরাকের বড় বড় রুই মাছ বাজারে উঠতো।বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো একপাল ভেড়া।
সে সবদিনের কথা মনে পড়ে নৈঋতের। সব যেন গতজন্মের কথা।
রেল জংশন।স্টিম ইঞ্জিনের কয়লার ধোঁয়া।রেল কলোনী আর প্রিয় নদী।
একটা জনপদের আর কী চাই।
খুব বৃষ্টি।বৃষ্টিতে আবারও ধুয়ে যাচ্ছে পথ ঘাট। তবে এই পথ ঘাট নৈঋতের সেই শহরের নয়।যার সঙ্গে সে আজন্ম জড়িয়ে ছিল।
অজস্র বৃষ্টি,নৈঋত বৃষ্টিতে ভিজছে।বৃষ্টির জলে মিশে যাচ্ছে নৈঋতের চোখের জল।
নৈঋত নিজের জন্ম শহর থেকে দূরে অনেক দূরে, আজ স্বেচ্ছা নির্বাসনে

No comments:

Post a Comment